গল্পের নাম: স্রবন্তীর প্রেম
ভয়েস ১ (স্রবন্তী):
"ভেবেছিলাম ভালোবাসা একদিন ঠিক আসবে। কিন্তু এমন করে আসবে, তা কল্পনাও করিনি…"
স্রবন্তী ছিল শহরের একটি মেয়ে, কিন্তু মনের মধ্যে একটুকরো গ্রাম লুকানো ছিল। প্রতিদিন কলেজে যেত, ফিরত বাসে চুপচাপ বসে। কেউ বুঝত না, সে প্রতিদিন একটা ছেলেকে দেখে হাসে, অথচ সেই ছেলেটা কোনোদিন জানেই না।
ভয়েস ২ (আরিয়ান):
"আমি তাকে প্রতিদিন দেখি। লাল শাড়ি পরে যখন দাঁড়ায়, মনে হয় পুরো শহরটা থেমে গেছে। কিন্তু আমি কি তাকে বলার সাহস পাবো?"
আরিয়ান স্রবন্তীকে প্রায়ই দেখত কলেজ গেটে, কখনও ফুল হাতে, কখনও গল্পের বইয়ে ডুবে। সে সাহস করে একদিন বলে ফেলে…
ভয়েস ২:
"স্রবন্তী... আমি জানি, তুমি জানো না আমি কে। কিন্তু আমি প্রতিদিন তোমাকে দেখি। তুমি আমার নীরব কবিতা।"
ভয়েস ১ (স্রবন্তী):
(হাসি দিয়ে) "তোমার সাহস আছে তো! আমাকে কবিতা বলছো, অথচ নামও জিজ্ঞাসা করোনি?"
তখন থেকেই শুরু। লাল রঙের সেই দিনটা হয়ে গেল তাদের ভালোবাসার শুরু।
দিন যেতে লাগল, বৃষ্টি, রোদ, বই, ঘাসের গন্ধ... সবকিছু ভাগাভাগি করে চলছিল।
ভয়েস ২:
"স্রবন্তী, ভালোবাসা কি শুধু তোমাকে দেখেই শেষ? আমি চাই তোমাকে ছুঁয়ে থাকুক সময়…"
ভয়েস ১:
"ভালোবাসা মানে পাশে থাকা, আর তা যদি হয় তোমার মতো কারো, তাহলে আমি চিরকাল থাকতে চাই…"
কিন্তু একদিন হঠাৎ করে স্রবন্তী কলেজে আসা বন্ধ করে দেয়। আরিয়ান খুঁজতে থাকে, বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করে, রাস্তাগুলো চোখে রাখে… কোথাও নেই।
ভয়েস ২:
"তুমি নেই… অথচ চারদিক জুড়ে তুমিই।"
দুই মাস পর একদিন একটা চিঠি এসে পৌঁছায় আরিয়ানের ঠিকানায়।
ভয়েস ১ (চিঠির কণ্ঠে):
"আরিয়ান, আমি জানি তুমি আমাকে খুঁজছো। আমার বাবার ট্রান্সফার হয়েছে। আমি হুট করেই চলে যেতে বাধ্য হয়েছি। বলার সুযোগ হয়নি।
তবে বিশ্বাস করো, প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্তে আমি শুধু তোমাকে ভালোবেসেছি। যদি কখনো ফিরে আসি, আমি ঠিক গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকব।
তুমি আসবে তো?"
সেই চিঠির উত্তরে আরিয়ান শুধু একটি কবিতা লিখে রাখে… “তুমি এসো, আমি থেমে আছি...”
ছয় মাস পর, হেমন্তের সকালে, আরিয়ান কলেজ গেটে দাঁড়িয়ে। হঠাৎ লাল রঙের শাড়ি… সেই একই হাসি…
ভয়েস ১ (স্রবন্তী):
"তুমি এখনও দাঁড়িয়ে আছো?"
ভয়েস ২ (আরিয়ান):
"তুমি কথা রেখেছো। আমি কি বলেছিলাম, আমি চিরকাল অপেক্ষা করবো…?"
দুজনের চোখে জল, কিন্তু মুখে একটাই হাসি — ভালোবাসা ফিরে এসেছে।
---
Comments
Post a Comment